নিজস্ব প্রতিবেদক : গভীর রাতে ট্রাক বোঝাই ঝাটকা ইলিশ আটক করে দেনদরবারে ছেড়ে দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত ১২ টা নাগাত সময়ে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল কলেজের সামনে থেকে ঝাটকা ইলিশ ভর্তি একটি ট্রাক সহ একজন ড্রাইভার সাথে তিনজন হেলপার সমেদ আটক করে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের সিএন্ডবি রোডস্থ কার্যালয়ের অফিসার সঞ্জীব সন্ন্যামত ও বীমল চন্দ্র দাস। ঝাটকা ইলিশে বোঝাই ট্রাক থেকে দুই বস্তা নামিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপারদের সাথে দফারফা করে উৎকোচ গ্রহন করে ছেড়ে দেয় মৎস্য কর্মকর্তা ইলিশ বিমল চন্দ্র দাস। এ বিষয়ে বরিশাল মৎস্য অফিসের ‘ইলিশ মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানায়, ৮ বস্তা ঝাটকা ইলিশ আটক করে ট্রাক সহ ড্রাইভার ও একজনকে মোট দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ট্রাক এবং আটককৃত কোনো ব্যাক্তি নেই তাদের হেফাজতে। এবিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরিশাল নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,আটককৃত ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে আমরা মোট ৮টি ঢোপে ঝাটকা ইলিশ পাই এবং ট্রাকে কোনো মহাজন না পেয়ে ড্রাইভার ও হেলপারকে ছেড়ে দেই।
বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে গতকাল দিনে মৎস অধিদপ্তরের আরো একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং সেই অভিযানে প্রায় ৬মন ঝাটকা ইলিশ আটক করা হয় তবে সেই আটককৃত ইলিশ কোনো এতিমখানা বা লিল্লাহ বোডিং এ বিতরণ না করে তারা সেই ঝাটকা ইলিশ গুলো রাতের আটককৃত ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়। এবং গতকাল রাতের ২য় বারের অভিযানের ঝাটকা না রেখে মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষ সূত্রে জানাযায়, ড্রাইভার সহ মোট চার জন সমেদ একটি ট্রাক বোঝাই ঝাটকা মাছের দুই বস্তা নামিয়ে ড্রাইভারের সাথে কথা বলে বাকী ট্রাক বোঝাই ঝাটকা ইলিশ নিয়ে চলে যায়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নানান নাটকীয়তা করছে বরিশাল জেলা মৎস অফিসের কর্মকর্তারা। ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া তারা জাটকা সহ ট্রাক ছেড়ে দিয়েছে কোন ক্ষমতাবলে তা বোধগম্য হচ্ছেনা প্রতক্ষদর্শীদের। পরবর্তীতে ঐ কর্মকর্তা কোন প্রশ্নেরই সদ উত্তর না দিতে পেরে ভ্যাবাচেকা খেয়ে নানা নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সকল তথ্য আসছে……….!
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply